রাজধানীর পল্লবী এলাকা হতে মেট্রোরেল প্রকল্পের মালামাল চুরির সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তারা হলেন, মো. আশিক (১৯) ও মো. হারুন (৪০)। তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া মালামালসহ একটি পিকআপ ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে।
র্যাব-৪ জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২০ সেপ্টেম্বর সকাল সোয়া ১০টায় র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানীর পল্লবী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মেট্রোরেল প্রকল্পের চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার করে। এসব মালামালের বাজারমূল্য আনুমানিক ৫ লাখ টাকা।এছাড়াও তাদের কাছ থেকে ১টি পিকআপ, ১টি সিএনজি, ২টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর মোঃ নাজমুল (১৮) তার মিরপুরের বাসা থেকে কাজের সন্ধানে যাওয়ার পর নিখোঁজ রয়েছে মর্মে পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
১৭ সেপ্টেম্বর ডিএমপির তুরাগ থানা জানায়, পরিচয়হীন একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে নাজমুলের বাবা তার মরদেহ শনাক্ত করেন। পরে তিনি তুরাগ থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে র্যাবের একটি দল এটির ছায়াতদন্ত শুরু করে।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায় নিহত নাজমুল আশিক, রাসেল এবং শামীম একসঙ্গে কাজ করতেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাসেল এবং শামীম নিহত নাজমুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। ওই রাতে আশিকও তাদের সঙ্গে বরাবরের মতো চুরিতে যোগ দেয়।
আশিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক তার কাটতে গিয়ে নাজমুল তড়িতাহত হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়।
র্যাব আরও জানিয়েছে, এই চক্রটি বেশকিছু দিন ধরে মেট্রোরেলের মালামালসহ অন্যান্য সরকারি কাজের মালামাল এবং বৈদ্যুতিক তার চুরি করছিল। তারা ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্প ছাড়াও আরও গুরুত্বপূর্ন প্রকল্পের অপ্রয়োজনীয় লোহা, ইস্পাত, তার, মেশিন কৌশলে চুরি করত। পরে তার কেটে বা টুকরো করে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করত।
চুরির পর তারা বেশকিছুদিন মালামাল লুকিয়ে রাখে। তারপর সেগুলোকে কেটে, টুকরো করে খুব গোপনে। আগে থেকে নির্ধারণ করা হয় ক্রেতা। পরে নির্দিষ্ট মূল্যে বিক্রি করে দেয় সব মালামাল।
র্যাব জানায়, এই চক্রের আরও অনেক সদস্য পালিয়ে রয়েছে। এদের গ্রেপ্তারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।