তালেবানের হাতে পতনের আগে আফগানিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ১৬৯ মিলিয়ন নিয়ে পালানোর অভিযোগ রয়েছে। অথচ তার সরকারে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা খালিদ পায়েন্দা এখন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে উবার চালাচ্ছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
২০২০ সালের শেষ দিকে কাবুলের একটি হাসপাতালে করোনায় মায়ের মৃত্যুর পর পায়েন্দা আফগানিস্তানের অর্থমন্ত্রী হন। ওয়াশিংটন পোস্টকে তিনি বলেছেন, তা (মন্ত্রী) না হলেই ভালো হতো।
তার কথায়, ‘আমি অনেক নোংরামি দেখেছি এবং আমরা ব্যর্থ হয়েছি। এই ব্যর্থতার অংশ ছিলাম আমি। যখন মানুষের দুর্দশা দেখেন এবং সেজন্য নিজেকে দায়ী মনে হয়- তখন তা নিজের জন্য খুব কঠিন।’
তালেবান আফগানিস্তান দখলের এক সপ্তাহ আগে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন পায়েন্দা। ঘানির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হলে তিনি এ পদক্ষেপ নেন। তার ভয় ছিল, প্রেসিডেন্ট হয়তো তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেন। তখনই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে চলে যান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টকে পায়েন্দা বলেন, আগামী দুই দিনে আমি যদি ৫০ ট্রিপ সম্পূর্ণ করতে পারি তাহলে ৯৫ ডলার বোনাস পাব।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে জর্জটাউন ইউনিভার্সিটিতে অ্যাডজেন্ট প্রফেসর হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি ওয়াশিংটনে ও তার আশেপাশে উবার ক্যাব চালান তিনি। শিক্ষকতা থেকে তিনি প্রতি সেমিস্টারে ২ হাজার ডলার আয় করেন। আফগানিস্তানের প্রথম প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির সহ-প্রতিষ্ঠাকারীও ছিলেন তিনি।
ওয়াশিংটন পোস্টের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে খালিদ জানান, তিনি যে কাজগুলো পেয়েছেন তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। কারণ এটি তাকে তার স্ত্রী এবং চার সন্তানের পরিবারের ভরণপোষণের জন্য সহায়তা করে।
মন্ত্রীত্বের শেষ কয়েক দিনের কথা স্মরণ করে তিনি জানান, আশরাফ ঘানি একটি জনসভায় লেবাননের কোম্পানিকে অর্থ প্রদান না করার জন্য মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার দায় দেন। এ কারণে অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। সূত্র : খবর দ্য গার্ডিয়ান