ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে বেশ কিছু জায়গায় হিন্দু মন্দিরের বাইরে মুসলিমদের দোকান বসানোর উপর ‘নিষেধাজ্ঞা’ জারি করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষগুলি। এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেনি কর্ণাটক সরকার।
কর্ণাটকে বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়েছে হিজাব বিতর্ককে কেন্দ্র করে। এবার সেখানে নতুন করে আরও একটি বিতর্ক তৈরি হয়েছে মন্দিরের মেলাকে ঘিরে। সম্প্রতি কর্ণাটকের বেশ কিছু জায়গায় মন্দির কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, হিন্দু অনুষ্ঠানের সময় মন্দিরের বাইরে যে মেলা হবে সেখানে দোকান দিতে বা ব্যবসা করতে পারবেন না মুসলিমরা।
এ ‘নিষেধাজ্ঞা’কে সমর্থন জানিয়েছে কর্ণাটক সরকারও। এমন আবহে নিজের সরকারের বিরুদ্ধেই সরব হলেন বিজেপি নেতা তথা কর্ণাটক বিধান পরিষদের মনোনীত সদস্য এএইচ বিশ্বনাথ। জনতা দল (সেকুলার) থেকে বিজেপিতে এসে নাম লেখানো এই নেতার এই বিষয়ে বক্তব্য, ‘রাজ্য ইস্যুটির বিরুদ্ধে কথা না বলে শুধুমাত্র ধর্মীয় রাজনীতিতে জড়াচ্ছে নিজেকে।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি উদুপি, দক্ষিণ কন্নড় এবং শিবমোগার বেশ কিছু মন্দিরের বাইরে পোস্টার পড়েছে যেখানে লেখা হিন্দু উত্সবের সময় মন্দিরের বাইরের মেলায় দোকান লাগাতে পারবেন না মুসলিমরা। এরপরই এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়। তবে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলে দেন যে যদি এই ‘নিষেধাজ্ঞা’ বৈধ হয়, তাহলে এই ক্ষেত্রে সরকার কোনও হস্তক্ষেপ করবে না।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বনাথের বক্তব্য, ‘এটা তো বিজেপির সরকার। আরএসএস, বজরং দল বা অন্য কোন গোষ্ঠীর তো নয়।’ রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বনাথ রবিবার গোকাকে প্রাক্তন মন্ত্রী রমেশ জারকিহোলির সঙ্গে দেখা করেন যার পরে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘সব কা বিকাশ ও বিশ্বাস’ বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের রাজ্য ভুল পথে এগোচ্ছে।’ সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।