সিসি টিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৫ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পালং থানা পুলিশ। পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে চুরির সত্যতা স্বীকার করেছে তারা। ২৯ মার্চ দুপুরে শরীয়তপুর পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি সাংবাদিকদের অবগত করেছেন পুলিশ সুপার এস.এস. আশরাফুজ্জামান।
তিনি বলেন, গত ৫ মার্চ রাতে পালং থানাধীন আংগারিয়া বাজারের আফজাল স্টোরের সামনে থেকে ৭টি প্লাষ্টিকের ড্রামে ১ হাজার ৪০০ লিটার ও হালিম স্টোরের সামনে থেকে ৪টি ড্রামে ৮০০ লিটার সয়াবিন, কেরোসিন ও ডিজেল তেল চুরি হয়। এই বিষয়ে পালং মডেল থানায় একটি চুরি মামলা হয়। আংগারিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আকুল চন্দ্র বিশ্বাস মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেন। তদন্তকালে তিনি বাজারে থাকা সিসি টিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে প্রথমে পালং থানাধীন চরপাতাং গ্রামের আকবর বেপারীর ছেলে শাকিল (২৪) কে সনাক্ত করেন। তখন শাকিল পার্শ্ববর্তী মাদারীপুর জেলায় অন্য একটি চুরি মামলায় গ্রেফতার ছিল। তদন্ত কর্মকর্তা পালং থানার চুরি মামলায় শাকিলের সম্পৃক্ততা দেখিয়ে মাদারীপুর আদালতে রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে শাকিল চুরির সত্যতা স্বীকার করে। শাকিলের দেওয়া তথ্য মতে পালং থানাধীন কাশাভোগ এলাকার একটি বন্ধ গ্যারেজ থেকে উপরগাঁও গ্রামের আজিজ খান/দেওয়ানের ছেলে দুলাল খান ওরফে দুলাল দেওয়ান, মুন্সীগঞ্জ জেলার টুঙ্গীবাড়ি উপজেলার রংমেহের গ্রামের কাশেম শেখের ছেলে স্বপন শেখ ওরফে সোহেল ও বরিশালের গৌরনদী উপজেলার দক্ষিন হাসনাবাদ গ্রামের হানিফ হাওলাদারের ছেলে তুহিন হাওলাদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই পর্যন্ত মামলার ৭ জন আসামীকে সনাক্ত করতে পেরেছে তদন্ত কর্মকর্তা। সনাক্তকৃতদের মধ্য থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর ২ আসামীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান, পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আক্তার হোসেন, ওসি তদন্ত আতিকুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানায়, ধৃত আসামী শাকিল বেপারী ও তার সহযোগিরা আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। শরীয়তপুরসহ অন্যান্য জেলায় তাদের নামে একাধিক চুরি মামলা রয়েছে। চুরির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যান উদ্ধার ও অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।