গত ৪ জুলাই টাংগাইল জেলার নাগরপুর থানার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের কাচপাই গ্রামের মোঃ রুবেল মিয়া তার ভাড়াটে গুন্ডা বাহিনী দিয়ে তার প্রতিবেশী মোঃ মোশারফ হোসেনের বাড়িতে হামলা করে এবং আদালতে বিচারাধীন মামলা থাকা সত্তেও অবৈধভাবে মোশারফ হোসেনের জায়গা দখল করে সীমানা প্রাচীর দেয়। সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধান করে জানা যায় , এর আগে এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ গিয়ে এর সমাধা দেবার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয় , এরপরে দুই পক্ষ নিজেরা সমাধানের চেষ্টা করে , তবে সেটি না হওয়ায় রুবেল পার্শবর্তী গ্রাম থেকে মার্ডার মামলার আসামীসহ প্রায় ২৫-৩০ জন লোক এনে জোড় করে টিন দিয়ে মোশারফ হোসেনের জায়গায় বেড়া দিয়ে দেয় । জানা যায় মোশারফ হোসেন কাচপাই মৌজায় ২৫২ নং দাগে মোট ৬৫ শতাংশ জায়গার মালিক , যার মধ্যে ভীটে বাড়িতে সে ভোগ দখল করে আসছিল ২৫ শতাংশ , কিন্তু ১৮ শতাংশ (আমিনের মাপে মূলত ১৭.৯৪) জায়গা মোশারফের জন্য রেখে মোঃ রুবেল মিয়া তার লোকজন দিয়ে ৪ শতাংশ জায়গা নিজের মধ্যে নিয়ে বেড়া তুলে দেয় , এ সময় বাবু ,এডিসন, মিথিল, সম্পদ,আমিনুর ,হিরু, রাব্বিসহ অন্যদের নিয়ে রুবেল , মোঃ মোশারফ হোসেনের পরিবারের সদস্যদের এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে হত্যার হুমকি দেয় এবং রাস্তায় চলাচল করতে দিবে না বলে হুমকি দেয় । ঈদ পরবর্তী সময়ে ১৩ তারিখে এ নিয়ে আবার উত্তেজনা ছড়ায় , এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও কাজের কথার হাতে এসে পৌছায় যেখানে রুবেলের পক্ষ নিয়ে হিরু মিয়াকে প্রতিপক্ষ মোঃ মোশারফ হোসেনের বড় ছেলে মুন্নাকে মাড়তে যেতে দেখা যায় , যেখানে তাকে অন্যরা ফেড়াতে দেখা যায়।মোশারফ হোসেনকে তার জমি বুঝিয়ে না দিয়ে বেড়া দেয়া যায় কিনা কিংবা মামলাধীন এই জায়গায় কোন লিখিত আদেশ না পেয়ে সীমানা প্রাচীর দেয়া যায় কিনা তা নিয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি মোঃ রুবেল মিয়া। শোনা যায়, মোঃ রুবেল মিয়া বন বিভাগে পিয়ন/প্রহরী হিসেবে কর্মরত অবস্থায় ঘুষ/অসৎ কাজের দায়ে তার বদলি/চাকরীচ্যুত হবার খবর শোনা গিয়েছিল, এ নিয়ে অধিকতর সত্যতার জন্য কাজের কথার অনুসন্ধান অব্যাহত আছে।বন বিভাগে এত ছোট চাকরি করেও এত অর্থের যোগান জনমনে প্রশ্নের জন্ম দেয়। অন্যের জমিতে বেড়া দেয়া নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিড়াজ করছে । এ নিয়ে মোশারফ হোসেন বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে পরিস্থিতি মোকাবেলা করব।