ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা অভিযান চলছে। ৩০ লাখের মতো মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে আশপাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। বেলারুশ সীমান্তে কয়েক দফা আলোচনা করেও সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি রাশিয়া ও ইউক্রেনের সমঝোতাকারীরা। তুরস্কে আনতালিয়ার রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ আর ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুলেবার বৈঠকেও কোনো ফল আসেনি। দুই পক্ষই জানিয়েছে সমঝোতায় পৌঁছানো খুব কঠিন। পুতিন-জেলেনস্কিও নানা মাধ্যমে কথা ছোড়াছুড়ি করছেন, একে অপরকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। তবে দুইজন এখনও সমঝোতার জন্য সরাসরি কথা বলেননি। -সিএনএন
এবার দুই নেতার মধ্যে সমঝোতা বৈঠক আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। পুতিনের সাথে এক ফোনালাপে তিনি এ প্রস্তাব দেন বলে জানিয়েছে আঙ্কারা। এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এরদোয়ানের প্রস্তাবের অনেক কিছুর সাথেই একমত হয়েছেন পুতিন। এরদোগানের দাবি, যুদ্ধবিরতির এই উদ্যোগই দুই দেশকে স্থায়ী সমাধানের পথে নিয়ে যাচ্ছে। শনিবার এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন জানিয়েছেন, ‘পুতিনের প্রথম শর্ত ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ হতে হবে। ন্যাটোতে যোগ দেওয়া যাবে না।
দ্বিতীয়ত, অস্ত্রবিহীন ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। তৃতীয়ত, নাৎসি আচরণ পরিহার করতে হবে। চতুর্থত, ইউক্রেনে রুশ ভাষার বিস্তারে যে বাধা আছে তা দূর করতে হবে।এছাড়াও ক্রিমিয়াকে স্বীকৃতি দেওয়ার শর্ত জুড়েছেন পুতিন। সাথে ডনবাসের স্বীকৃতি চান পুতিন। যদিও এই দাবি ইউক্রেন মানছে না বলে জানিয়েছে তুরস্ক। প্রথম চার শর্ত মানলেই পরেই পঞ্চম ও ষষ্ঠ ইস্যুতে আলোচনায় বসতে রাজি আছেন পুতিন। এমনটাই জানিয়েছেন এরদোগানের মুখপাত্র কালিন।