সাভারের আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একটি ভবনের ছয় তলার করিডর থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে এ বি এম তকি তানভীর নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২৩ মে) দুপুরে আশুলিয়ার দত্তপাড়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থীর বাড়ি বগুড়ায়।
নিহতের সহপাঠীরা জানান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের সপ্তম সেমিস্টারের ওই শিক্ষার্থী দুপুরের দিকে একটি ভবনের ছয় তলার করিডর থেকে নিচে পড়ে যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শিক্ষার্থীর স্বজনরা আসার পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট অ্যান্ড অ্যাফেয়ারসের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে সিসি ক্যামারের ফুটেজ পুলিশ সংগ্রহ করেছে। তারা ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন ও তদন্ত করছে।
সাভার মডেল থানার এসআই ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা, আত্মহত্যার উদ্দেশ্যেই শিক্ষার্থী ভবনের করিডর থেকে লাফ দিয়েছে। তার বাবা-মার ডির্ভোস হয়েছে। তার মা আবার বিয়ে করে সংসার করছেন। মূলত এসব বিষয় নিয়ে হতাশাগ্রস্ত ছিল সে। তবে আমরা অন্য বিষয়গুলোও মাথায় নিয়ে তদন্ত করছি। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করছি। ‘
ফেরদৌস রহমান আরো বলেন, ‘নিহত শিক্ষার্থীর সৎবাবার সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, ঘটনার আগে তার মায়ের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেছিল তানভীর। কথা শেষ করার কিছুক্ষণ পরই তারা এমন খবর জানতে পারেন। ‘