কানাডার পার্লামেন্ট নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত জাস্টিন ট্রুডোই জিতছেন। তবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছেন না তিনি। দেশটিতে এবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সোমবার তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, আমার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সংখ্যাগরিষ্ঠ জয়ের লক্ষ্যে ব্যর্থ হলেও তিনি শাসন করার একটি স্পষ্ট ম্যান্ডেট জিতেছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, কানাডার স্থানীয় সময় সোমবার দেশটির বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, তাতে ট্রুডোকেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ট্রুডোর লিবারেল পার্টির বিরুদ্ধে আছে কনজারভেটিভ পার্টি। দলটির প্রার্থী এরিন ও’টুলে এরইমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, প্রধান বিরোধী নেতা হিসেবে তিনি থাকতে চান এবং তিনি ট্রুডোকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত।
আনুষ্ঠানিকভাবে জয়ী ঘোষণা হলে দেশটিতে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন ৪৯ বছর বয়সী জাস্টিন ট্রুডো।
সোমবার কানাডার ৪৪তম সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে মোট ২২টি দল অংশ নিলেও আলোচনায় ছয়টি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। তবে মূল লড়াইটা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর লেবার পার্টি ও তার প্রধান প্রতিপক্ষ এরিন ও’টুলের কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে। নির্বাচনের আগে জনমত জরিপেও তাদের জনপ্রিয়তা প্রায় কাছাকাছি দেখানো হয়। কার্যত তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এ নির্বাচনে ট্রুডোর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে হাজির হন ও’টুলে।
খবরে বলা হয়েছে, দেশটির মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় তিন কোটি। তারা দেশটির নেতা নির্বাচন করতে এ দিন ভোট দেন। এছাড়া এবার ৬০ লাখ ৮০ হাজার মানুষ ডাকযোগে ভোট দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, করোনার কারণে এবার এভাবে বেশি মানুষ ভোট দিয়েছেন। নির্বাচন কর্মকর্তারা তখন বলেন, এ কারণে নির্বাচনের ফল প্রকাশ করতে একটু দেরি হতে পারে।
কানাডায় এবারের নির্বাচনে দেশটির পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সের ৩৩৮ আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন দুই হাজার ১০ জন প্রার্থী। এরমধ্যে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত দলের প্রার্থী এক হাজার ৯১৯ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৯১ জন।