পাঁচ বছর ধরে বাবা, ভাই, দাদা, কাকার ধর্ষণের শিকার কিশোরী!

গা শিউরে উঠার মতো খবর। খবরটি শুনে কারো মাথা ঠিক থাকার কথা নয়। তবু খবর তো খবরই। মানুষের মধ্যে পিশাচ কিভাবে জাগ্রত হচ্ছে তা এই খবরটিই বলে দেয়। ঘটনাটি ভারতের পুনের। সেখানে মাত্র ১১ বছর বয়সী একটি বালিকাকে তার পিতা, ভাই, চাচা ও দাদা ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন করেছে বলে মামলা হয়েছে। অভিযোগ যদি সত্য হয় তাহলে এসব অভিভাবককে ঘৃণা জানানোর মতো ভাষা নেই। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, ভুক্তভোগী কিশোরীটির স্কুলে সম্প্রতি ‘গুড টাচ অ্যান্ড ব্যাড টাচ’ বিষয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে ওই কিশোরী তার সঙ্গে হয়ে যাওয়া ঘটনার কথা প্রকাশ করেন।
কিশোরী জানিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত ২০১৭ সালে। সে সময় তারা বিহারে থাকত। কিশোরীর অভিযোগ, ওই বছর থেকে তার উপর শুরু হয় যৌন নির্যাতন।
কিশোরীর অভিযোগ, তার উপর যৌন নির্যাতন শুরু করেন তার বাবাই। এরপর ২০২০ থেকে তার ভাই তাকে ধর্ষণ করতে শুরু করে। ওই বছরই কিশোরীর দাদাও যৌন নির্যাতন শুরু করেন। এমনকি দূর সম্পর্কের এক কাকাও কিশোরীকে তার লালসার শিকার বানান।
প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনা আলাদা আলাদাভাবে ঘটেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে ওই কিশোরী। প্রত্যেকেই আলাদা আলাদাভাবে কিশোরীকে ধর্ষণ করেছেন, তাই চারজনের কেউই জানতেন না যে, প্রত্যেকেই ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করছেন!
পুনে শহরের বান্দগার্ডেন পুলিশ স্টেশনে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারার অধীনে ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে। ওই বালিকার দাদার বয়স ৬০ বছর। দূর সম্পর্কের ওই চাচার বয়স ২৫ বছর। তাদের বিরুদ্ধে আলাদা একটি ধারায় মামলা হয়েছে। সূত্র : আনন্দবাজার

Exit mobile version