মাগুরা শ্রীপুরের আলোচিত স্কুল শিক্ষার্থী রাজিয়া হত্যার প্রধান আসামী হাসান গ্রেফতার।ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার হাটশ্রীকোল গ্রামে কুমার নদের চরে রসুনের ক্ষেতে একা পেয়ে প্রথমে ধর্ষন পরবর্তীতে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে গলা টিপে হত্যা রাজিয়াকে। এরপরও মৃত্যু নিশ্চিত করতে রাজিয়ার গলায় ধারাল ব্লেড দিয়ে গলাকাটে ধর্ষক।

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়নের হাটশ্রীকোল গ্রামের আলোচিত স্কুল শিক্ষার্থী রাজিয়া খাতুন হত্যার প্রধান আসামী গ্রেফতার ও হত্যার লোমহর্ষক বর্ননায় সংবাদ ব্রিফিং এ এতথ্য জানান র্যাব-৬ এর কোম্পানী কমান্ডার লে: কমান্ডার এম নাজিউর রহমান।

তিনি আরো জানান, ঘটনার পর থেকে র্যাব- ৬ নজরদারী বৃদ্ধি সহ মৃত্যুর কারন উদঘাটনে ছায়া তদন্ত শুরু করে। হত্যার ঘটনার পরের দিন ১৯ তারিখ শনিবার একই গ্রামের মো. হাসান শেখ (২৩) কে বারইপাড়া গ্রামে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। সে মো. ফজলু শেখের ছেলে।

র‍্যাব জানায়, আসামী হাসান শেখ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব স্বীকার করেছে। ধর্ষণের পর ধারলো ব্লেড দিয়ে গলা কাটে এই নরপিশাচ। ঘটনা ছিলো পরিকল্পিত। হত্যার ঘটনায় শ্রীপুর থানায় ১৯ মার্চ শনিবার একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা মিখিজ শেখ। এতে মো হাসানকে প্রধান ও একমাত্র আসামী হিসাবে দেখানো হয়। আসামী হাসান শেখ পেশায় নসিমন চালক। সে নিহতের বাড়ির পাশের বাসিন্দা।

উপজেলার শ্রীকোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাজিয়া খাতুনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় বাড়ির পাশে কুমার নদের পারে এক বাঁশ ঝাড়ে। সেই সময় পুলিশ জানায় তাকে কেউ খুন করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে তারা ধারনা করছে। তবে তখন এ হত্যার ঘটনায় কাউকে আটকের বিষয়ে জানায়নি মাগুরা জেলা পুলিশ। এরপর থেকে বিষয়টি র‍্যাবসহ পিবিআই,সিআইডি তদন্ত শুরু করে।

আসামী গ্রেফতার বিষয়ে নিহতের বড় ভাই রাজু শেখ শ্রীকোল মাধ্যমিক বিদ্যারয়ে হত্যার বিচার চেয়ে মানববন্ধনে বলেন, তারা এ হত্যার সুষ্ঠ বিচার আশা করছেন।

এ দিকে স্কুল ছাত্রী রাজিয়া হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে শ্রীকোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মানববন্ধন করে ঐ স্কুলের শিক্ষক, কর্মচারীও শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে শ্রীকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুতুবুল্লাহ হোসেন মিয়া কুটি বলেন, আমরা এই ঘটনার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই দোষীদের। এরকম মর্মান্তিক ঘটনার পুনারাবৃত্তি তখনই হবে না যখন আসামীর সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হবে।

ঐ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু সাইদ বলেন, আমরা হতবাক হয়ে গেছি এই ঘটনায়। আমাদের বিদ্যালয়ে সে মাত্র ভর্তি হয়েছে। তার স্বপ্ন, পরিবারের স্বপ্ন সব চুরমার হয়ে গেছে। আমরা ফাঁসি চাই আসামীর।
সাইদুর রহমান,মাগুরা।

Exit mobile version