ঢাকার কেরাণীগঞ্জে পানগাও এলাকায় বসুন্ধরা মাল্টিফুড প্রোডাক্টস এর কারখানা পরিদর্শন করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকারের পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহারিয়া সহ তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি। অন্যরা হলেন জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর উপ পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস, সহকারী পরিচালক মোঃ মাগফুর রহমান । আজ রবিবার সকাল ১১ টায় কেরাণীগঞ্জের পানগাও এলাকায় বসুন্ধরা ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের সয়াবিন তেল ও পাম তেলের কারখানা পরিদর্শন করেন ভোক্তা অধিকারের পরিচালক সহ তিন সদস্য এরা কারখানার প্রস্তুত প্রনালীর সমস্ত কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং উৎপাদিত দ্রব্যগুলির গুনগতমান মূল্য ও পরীক্ষা করে দেখেন। পরিদর্শন শেষে জাতীয় ভোক্তা অধিকারের পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহারিয়া উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান পরিদর্শনে কারখানায় কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে। যেমন, অতিরিক্ত মালামাল মজুদ সঠিক সময়ে সেলস অর্ডার সরবরাহ না করা এবং তিন মাসের সেলস সামারিতে নানা অনিয়ম দেখা গেছে।ডিসেম্বর মাসে বিক্রি হলো বিশহাজার চারশত সাতাশি মেট্রিকটন,জানুয়ারী মাসের বিক্রি হলো সতেরো হাজার একশত চৌষট্টি মেট্রিকটন অথচ মার্চ মাসে বিক্রি হয় ছয়হাজার তিনশত দশ মেট্রিকটন। পরিচালক আরো জানান অনিয়ম সর্ম্পকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে সমস্ত সেলস অর্ডার সরবরাহ না করলে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। বসুন্ধরা ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার এ এইচ এম কালাম সিদ্দিক জানান তেল তৈরীর কাচামালের সরবরাহ সল্পতার কারনে মার্চ মাসে উৎপাদন কম হয়েছে। তাই গ্রাহকদের তেলের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমানে তেল তৈরীর কাচামালের সরবরাহ স¦াভাবিক হয়েছে।ভবিষ্যতে গ্রাহকদের চাহিদামতো তেল সরবরাহ করা সম্ভব হবে।