নগরীর লালখান বাজারে ক্ষমতাসীন দলের দুই গ্রুপের সংঘাতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম ও লালখান বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি আবুল হাসনাত বেলালের অনুসারীদের মধ্যে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়েছে বলে জানা যায়। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার রাত সোয়া ৯ টার দিকে লালখান বাজার মোড় থেকে বাঘঘোনার কর্ণেল হোটেল মোড়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। উভয় পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে খুলশি থানা পুলিশ। জানা গেছে
গত ২৭ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে দিদারুল আলম মাসুম লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তার বক্তব্যে সাধারণ মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার ও রেশন কার্ড নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে হয়রানি ও ভোগান্তির অভিযোগ করেন। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত থাকা কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলাল প্রতিবাদ করেন। টিভি ফুটেজে দেখা যায়-দিদারুল আলম মাসুমের বক্তব্যে কাউন্সিলর বেলাল বেশ কয়েকবার দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন এবং মঞ্চে উপস্থিত নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম. নাছির উদ্দীনের কাছে অভিযোগ করেন। এ সময় আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বেশ কয়েকবার দুজনকেই নিবৃত করেন। ওই ঘটনার জের ধরে সোমবার রাতে কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলাল এবং মাসুমের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘাত হয়। এই ইস্যুতে তারা এলাকায় ভাঙচুর ও তাণ্ডব শুরু করে। আবুল হাসনাত বেলালের দাবি, মাসুমের অনুসারীরা তার তিনজন কর্মীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছেন। তারা হলেন-আরিফ, বাবু ও তানভীর। এরমধ্যে তানভীরকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে দিদারুল আলম মাসুমের দাবি, তার ৫ জন অনুসারীকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। হামলায় গুরুতর আহত জুয়েল নামে এক কর্মীকে হাসপাতালে নিতেও বাধা দেয়া হয়েছে।
ঘটনার পরপর খুলশি থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমার নেতৃত্বে এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।