আপাতত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনাসভায় কৃষিসচিব এমন তথ্য জানান। সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধান ও প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিসচিব বলেন, ‘পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে থাকি। এখন পর্যন্ত কৃষক পেঁয়াজের ভাল দাম পাচ্ছে। অন্যদিকে, সামনে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। এই সময়ে পেঁয়াজের দাম যাতে না বাড়ে, সেটিও আমাদের বিবেচনায় রয়েছে।
‘তাই, আপাতত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পরিকল্পনা কৃষি মন্ত্রণালয়ের নেই। তবে আমরা নিবিড়ভাবে বাজার মনিটর করছি, কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ রক্ষায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’
সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সংখ্যা ৭৭টি। মোট বরাদ্দ ৩ হাজার ১২৪ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৪০ শতাংশ, যা জাতীয় গড় অগ্রগতির চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি। এ সময়ে জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ৩৫ শতাংশ।
রমজান মাসকে সামনে রেখে বাড়ছে পেঁয়াজের চাহিদা। এমন পরিস্থিতিতে দেশে নিত্যপণ্যটির বাড়তি চাহিদার সঙ্গে সরবরাহ চেইন স্বাভাবিক ও দাম স্থিতিশীল রাখতে এর আমদানির সময়সীমা আরও এক মাস বাড়াতে চায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বর্তমানে পেঁয়াজের আমদানি অনুমতি (ইমপোর্ট পারমিশন/আইপি) ইস্যু কার্যক্রমের সময়সীমা আগামীকাল ২৯ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারিত আছে।
আমদানির সময়সীমা বাড়ানো হলে বিদ্যমান সুযোগের আওতায় পেঁয়াজ আমদানিকারকরা আগামী ঈদুল ফিতর পর্যন্ত দেশে পেঁয়াজের আইপি ইস্যু কার্যক্রম চালাতে পারবেন। একই সঙ্গে এলসি খুলতে পারবেন। এতে রমজানে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা স্বাভাবিক ও দাম স্থিতিশীল থাকবে।
রোববার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালকের কাছে একটি আধা সরকারি পত্র পাঠানো হয়েছে।