আমরা কাউকে বিশ্বাস করি না : জেলেনস্কি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার দেশ এখন একটি ‘টার্নিং পয়েন্টে’ রয়েছে। এছাড়া হামলা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে রাশিয়া যে দাবি করেছে সেটি নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, এটি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার ‘নতুন হামলার’ কৌশল। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বুধবার (৩০ মার্চ) রাতে টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, কিয়েভ থেকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ‘তথাকথিত প্রত্যাহার’ মূলত ‘আমাদের রক্ষকদের কাজের ফলাফল’।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কাউকে বিশ্বাস করি না। একটি সুন্দর শব্দও বিশ্বাস করি না। যুদ্ধক্ষেত্রে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি রয়েছে এবং এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা কিছুই ছেড়ে দেবো না।’

একইভাবে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনা চললেও আপাতত ‘এগুলো কেবলই শব্দ মাত্র, (আলোচনা) এখনও বিশেষ কিছু নয়’। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে বিমান ও কামানসহ অন্যান্য অস্ত্র চাওয়ার অধিকার রয়েছে ইউক্রেনের।

এদিকে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী মারিউপোলে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। মূলত রুশ সামরিক বাহিনীর হাতে অবরুদ্ধ এই শহরটি থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্যই এই স্থানীয় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে মস্কো।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রুশ নিয়ন্ত্রিত বারদিয়ানস্ক বন্দর হয়ে মারিউপোল থেকে জাপোরিঝিয়া পর্যন্ত একটি মানবিক করিডোর খোলা হবে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা) থেকে এই মানবিক করিডোর উন্মুক্ত হবে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এই মানবিক কাজটি সফল করার জন্য আমরা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) এবং রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি (আইসিআরসি)-এর সরাসরি অংশগ্রহণে এটি চালানোর প্রস্তাব করছি।’

এছাড়া বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টার (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টার) আগেই যুদ্ধবিরতিকে ‘নিঃশর্তভাবে সম্মান’ করার বিষয়টি রুশ কর্তৃপক্ষ, ইউএনএইচসিআর, আইসিআরসি-কে লিখিতভাবে জানাতেও কিয়েভের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

Exit mobile version