‘গারো পাহাড় এবং প্রাণী রক্ষা করুন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শেরপুরের ঝিনাইগাতীর গজনী অবকাশ কেন্দ্রে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো মিনি ম্যারাথন ‘শেরপুর দৌড় প্রতিযোগিতা’। ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে গজনী অবকাশ কেন্দ্র চত্বর থেকে ওই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। শেরপুর রানার্স কমিউনিটি ওই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
আয়োজক সংগঠন শেরপুর রানার্স কমিউনিটির প্রধান সমন্বয়ক আল আমিন সেলিম জানান, শেরপুরের সীমান্তবর্তী অপরূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত গারো পাহাড়ের ট্র্যাকে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এটি জেলার পর্যটনের উন্নয়নে ও পাহাড়ের বন্যপ্রাণী রক্ষায় জনসচেতনতা বাড়াতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। ১০ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার ও দেড় কিলোমিটার- এ তিন ক্যাটাগরিতে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের ৪৩৩ জন প্রতিযোগী এতে অংশ নেন। চেজ ট্র্যাক নামের একটি সংগঠন এ সময় টেকনিক্যাল পার্টনার হিসেবে কাজ করে।
প্রতিযোগিতায় ১০ কিলোমিটার ক্যাটাগরির পুরুষ বিভাগে ৩৫ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে আশরাফুল আলম চ্যাম্পিয়ন এবং নারী বিভাগে ৪৯ দশমিক ৫০ সেকেন্ড সময় নিয়ে হামিদা আক্তার জেবা চ্যাম্পিয়ন হন। পুরুষ ও নারী বিভাগে যথাক্রমে আতিকুর রহমান ও তামান্না আফরিন প্রথম রানার আপ হন।
প্রতিযোগিতায় ৫ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে সোহানুর রহমান চ্যাম্পিয়ন ও জহির রায়হান প্রথম রানার আপ এবং দেড় কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে রোহিত কোচ চ্যাম্পিয়ন ও অর্নি চিরান প্রথম রানার আপ হন।
প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। ওইসময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মানিক দত্ত, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, শেরপুর দৌড় প্রতিযোগিতার টাইটেল স্পন্সর ডেনিম সলিউশান লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী সোহেল রানা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের কর্মকর্তা রাজীব হোসেন, শেরপুর টেনিস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান পাপ্পু, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সোহেলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সহ-সমন্বয়ক ইমরান হাসান রাব্বী।
এই প্রতিযোগিতা আয়োজনে টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ছিল ডেনিম সলিউশান লিমিটেড। এছাড়া গোল্ড স্পন্সর জেএন্ডএস গ্রুপ, গ্রীন এন্ড সাসটেইনাবিলিটি পার্টনার মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং হাইড্রেশন পার্টনার হিসেবে ছিল স্টারজল ডাইস এন্ড কেমিকেল। আর সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল জেলা ক্রীড়া সংস্থা, জেলা পরিষদ, শেরপুর রোটারী ক্লাব, চেস ট্র্যাক, কডস ক্লোথিং, আবেদীন হাসপাতাল, শেরপুর টেনিস ক্লাব ও শেরপুর রেড লাইন বাস।